বাইন্যান্স স্পট ট্রেডিং করে ইনকাম | শুধুমাত্র নতুনদের জন্য । Limit, Market, Stop Limit, OCO, Trailing Stop সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আজকাল অনেকেই বাইন্যান্স ট্রেডিং নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং অনেকেই সঠিক গাইডলাইনের অভাবে এই সেক্টরে প্রবেশ করে সফলতার মুখ দেখতে পারছে না । এছাড়াও আশেপাশের অল্প বিদ্যা অধিকারী কিছু মানুষ ভুল ব্যাখ্যা করে একে ভয়ংকরভাবে উপস্থাপন করে আগ্রহ নষ্ট করে দিচ্ছে ।
Stop Limit: এই অপশনটা মুলত লস কমাতে ব্যবহার করা হয় । উপরের ছবিতে দেখুন Stop (usdt), Limit (usdt), Amount (bnb) দেখা যাচ্ছে । এবং কারেন্ট বিএনবি রেট দেখা যাচ্ছে ২৮৩.৭ ডলার । ধরুন, Stop বক্সে ২৮০.৫ ও Limit বক্সে ২৭৫.১ বসিয়ে দিলেন । এর মানে কি ? যদি দেখেন মার্কেট উঠা-নামা করছে এবং লস বেশি হয়ে যাবে এরকম আশংকা করেন তাহলে স্টপ বক্সে ২৮০.৫ দিয়েছেন । অর্থাৎ, আপনি ৩.২ ডলার লস হলেও সমস্যা হবে না বা এটা গ্রহণ করার সামর্থ্য আপনার আছে । আর লিমিট বক্সে ২৭৫.১ ডলার দিয়েছেন । অর্থাৎ, ২৮৩.৭ ডলারের বিএনবি যদি ২৭৫.১ ডলার পর্যন্ত লস হয় তাহলে আপনি সর্বোচ্চ ছাড় দিতে পারবেন । এতে করে আপনার ৮.৬ ডলার খুব বেশি হলে লস হবে । আপনি এর চাইতে বেশি লস নিতে চান না । এবার ভালোমত বুঝতে চেষ্টা করেন, দেখা গেলো ডলারের দাম ২৮৩.৭ ডলার থেকে নেমে কমতে কমতে ২৮০.৫ পাড় করে ২৭৮ ডলার হয়ে গেলো । যেহেতু আপনি লিমিট ২৭৫.১ দিয়েছেন এতে করে আপনার ডলার লসে বিক্রি হয়ে যাবে না । আবার দেখা গেলো ডলারের দাম ২৭৫.২ পর্যন্ত এসে ০.১ আরও নিচে না নেমে আবার উপরের দিকে উঠে গেলো । এতে আপনি বেঁচে যাবেন লসের হাত থেকে । যেহেতু আপনি লিমিট দিয়েছেন ২৭৫.১ ডলার তাই এর থেকে সামান্য কমও যদি কাছাকাছি আসে তাও ডলার বিক্রি হবে না । যদি কোনভাবে ২৭৫.১ থেকে ২৭৫.০ তে এসে যায় তাহলেই ডলার বিক্রি হয়ে যাবে । এগুলি একটু রিস্ক হয়ে যায় । যদি আপনি লসের পরিমাণ গ্রহণ করতে রাজি হউন তাহলেই কেবল এভাবে লিমিট দিতে পারেন । তবে মার্কেট ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস করার ক্ষমতা আপনার থাকা লাগবে । আন্দাজে দাম ধরে দিয়ে লাভ নাই । লাভের চেয়ে লস হবে । তাই ভালোমত শিখে তারপর এরকম স্টপ-লিমিট সেট করবেন । আর নয়ত স্টপ এবং লিমিটের উভয় বক্সে একই পরিমাণ সংখ্যা দিবেন । এতে করে ওই দামে চলে এলেই ডলার বিক্রি হয়ে যাবে এবং অতিরিক্ত লসের হাত থেকে বেঁচে গেলেন ।
OCO: বেশিরভাগ ট্রেডার এটা ব্যবহার করে কাজ করে । এটা কিভাবে কাজ করে ? উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে Price (usdt), Stop (usdt), Limit (usdt), Amount (bnb) এবং কারেন্ট প্রাইস ২৮৩.৭ ডলার দেখা যাচ্ছে । ধরুন আপনি ২৮৩.৭ ডলারে বিএনবি ক্রয় করেছেন । আপনি চাচ্ছেন ২৯০.৭ ডলার হিট করলেই ডলার বিক্রি করে দিবেন । ধরি, আপনি লস হলে সর্বোচ্চ ২৮০.৭ পর্যন্ত রাজি আছেন । এর নিচে কোনভাবেই রাজি নন । এবার চলুন বক্সে সেট করি । Price বক্সে ২৯০.৭ ডলার দিবেন যা আপনার প্রফিট হিসাবে চিহ্নিত হচ্ছে । Stop ও Limit বক্সে ২৮০.৭ ডলার সেট করবেন এবং Amount বক্সে পুরো ডলার ১০০% সেট করে সেল সিলেক্ট করে দিবেন । এতে ওপেন অর্ডার হয়ে যাবে । এখন যদি মার্কেট ২৯০.৭ তে হিট করে তাহলে অটো সেল হয়ে যাবে এবং প্রফিট ও মূল দাম ব্যালেন্সে চলে আসবে । আর যদি নিচের দিকে নেমে ২৮০.৭ তে চলে আসে তাহলেও সেল হয়ে যাবে । এতে করে মাত্র ৩ ডলার লস হবে । আর যদি মনে করেন, আপনার বাবা আপনাকে ঠ্যাংগাবে তাহলে স্টপ ও লিমিট বক্সে ২৮৩.৭ ডলারই বসিয়ে দিবেন । এতে করে মার্কেট নিচে গেলে যা দামে কিনেছেন সেই দামেই বিক্রি হয়ে যাবে । কিছু সেন্ট কম পাবেন কারণ প্রতিটা ট্রেডে খুবই সামান্য পরিমাণ ডলার কাটে । তার পরিমাণ খুবই কম, এগুলি আমাদের গায়ে লাগে না । আশা করি, পড়ছেন এবং মজা পাচ্ছেন কারণ বুঝতে পারছেন, এটা তো ক্যালকুলাসের চেয়েও পানির মত দুধভাত বিষয় । জি, এটা সহজ বিষয় কিন্তু মার্কেট বুঝতে এনালাইসিস ক্ষমতা থাকতে হবে । এতে করে আরও লাভবান হবেন । কখন ট্রেড করবেন, কখন করবেন না । কখন এন্ত্রি নিলে ভালো হবে । এগুলির জন্য মার্কেট বুঝতে হবে । যার জন্য অন্তুত ৬ মাস গাধার মত লেগে থাকা লাগবে । তাহলেই এই স্পট ট্রেডিং আপনাকে দুই হাত ভর্তি করে মুনাফা দিবে ।
আজকের পোস্টে আমি সংক্ষেপে স্পট ট্রেডিং নিয়ে ধারণা দেবো । কারণ ইতিমধ্যে আপনারা ভিডিও দেখেছেন । যদি না দেখেন তাহলে আমাদের চ্যানেল " অনলাইন হেল্প ৩৬০ " ইউটিউব থেকে ঘুরে আসুন এবং দেখে নিন । এই পোস্টে ফিউচার ট্রেডিং নিয়ে কোন কথা হবে না ।
প্রথম কথা হচ্ছে, আপনার যদি বিন্যান্সে অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে এই লিংক থেকে বিন্যান্সে সাইনআপ করে নিন এবং ইউটিউবের কোন একটা ভিডিও দেখে ভেরিফাই করে ফেলুন । এছাড়া আমার রেফার কোড ব্যবহার করতে পারেন - "39255599" ।
ট্রেডিং করে আপনি সফলতার মুখ দেখতে পারবেন যদি আপনি স্পট ট্রেডিং এর প্রতিটা অংশ কিভাবে কাজ করে সেটা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন । যদি ধারণা না থাকে তাহলে সারাদিন বসে থেকেও এক পয়সা লাভ হবে না । অবশ্যই মনে রাখবেন যেহেতু টাকা দিয়ে ট্রেড করবেন তাই লসের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে । আপনি যদি লস গ্রহণ করতে না চান তাহলে এখানেই ফুল স্টপ দিয়ে চলে যান । পোস্টের বাকি অংশ আপনার জন্য নয় ।
স্পট ট্রেডিং নিয়ে আমি কোন বাংলা আর্টিকেল পাইনি বা কেউ হয়ত লেখার দরকার মনে করেনি । তাই আমি লিখছি আপনাদের জন্য এবং অবশ্যই এটা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন । এতে অনেকে উপকৃত হবে । যেহেতু এটা শুধুমাত্র বিগিনারদের জন্য তাই অভিজ্ঞদের জন্য এখানে কিছুই নেই । তাই যদি লেখায় ভুল ভ্রান্তি থাকে আমাকে অবগত করলে সেটা পরিবর্তন করে দেবো ।
স্পট ট্রেডিং করার জন্য কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে । যেমনঃ Limit, Market, Stop Limit, OCO, Trailing Stop । এগুলির প্রতিটা অংশ কিভাবে কাজ করে চলুন জানা যাক -
আরেকটা ব্যাপার বলতে ভুলে গেছি । সেটা হল, অনেক খুটিনাটি কোন অংশকে কি বলে সেটা ভিডিওতে বলা হয়েছে তাই সেগুলি আর এখানে লিখছি না । কেবলমাত্র মূল বিষয়গুলি এখানে উল্লেখ করে দিচ্ছি । এই বিষয়গুলি দেখানোর জন্য আমি BNB/USDT পেয়ার বেছে নিয়েছি । এবং ছবিতে কারেন্ট দাম দেখা যাচ্ছে ২৮৩.৭ ডলার ।
Limit: উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, Price (usdt) এবং Amount (BNB) দেখা যাচ্ছে । আপনি কখন লিমিট ব্যবহার করবেন ? যদি আপনার হাতে অতিরিক্ত ডলার পড়ে থাকে যা এখুনি দরকার হচ্ছে না তাহলে এটা ব্যবহার করতে পারেন । ধরুন, বিএনবি ডলারের কারেন্ট দাম হচ্ছে ২৮৩ ডলার । আপনি এই দামে ১ টা বিএনবি ক্রয় করলেন । আপনি চাচ্ছেন ২৯০ ডলার হলে এটা বিক্রি করে দিবেন কিংবা আপনার কাঙ্ক্ষিত মুনাফা হলেই এটা বিক্রি হয়ে যাবে । তাই লিমিট অপশনে এসে Price (usdt) বক্সে আপনার মুনাফাসহ ২৯০ ডলার লিখে দিবেন এবং Amount (BNB) বক্সে পুরো ১০০% সিলেক্ট করে Sell BNB মার্ক করে দিলে Open Order বক্সে একটা অর্ডার জমা হবে । উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন BNB ও TRX এর দুইটা অর্ডার জমা হয়ে আছে । যখন মার্কেটে বিএনবির দাম বৃদ্ধি পেয়ে ২৯০ ডলার পাড় হয়ে যাবে তখনই অটোমেটিক আপনার বিএনবি সেল হয়ে ব্যালেন্সে ডলার জমা হয়ে যাবে । যে কারেন্সি দ্বারা বিএনবি ক্রয় করবেন সেই কারেন্সিতে ব্যালেন্স অ্যাড হবে । এখানে ইউএসডিটি ব্যবহার করেছি তাই ব্যালেন্স সেখানে জমা হবে । এভাবে আপনি ৫ ডলার প্রফিট পেয়ে যাচ্ছেন । আর যদি কোন কারণে মার্কেট উপরের দিকে না গিয়ে নিচের দিয়ে চলে যায় তবুও হতাশ হওয়ার কিছু নেই । কারণ আগেই বলেছি এটা আপনার বাড়তি টাকা যা দিয়ে আপনি এই বিএনবি ক্রয় করেছিলেন । তাই দাম পড়ে গেলেও চিন্তা নাই ডুড, বসে থাকেন । আবার দাম বাড়বে । এবং মাসে একটা কারেন্সির দাম ৭-৮ বার উঠানামা করে তাই প্যারা নিয়ে বসে থাকতে হবে না । আপনি যদি লং টাইম ধরে ট্রেড করতে চান বা চিন্তা করেন যে, সস্তায় একটা টোকেন কিনে বেশি দামের আশায় বসে থাকবেন তাহলেও এই মাধ্যমে ট্রেড করতে পারেন ।
Market: আপনি যদি মার্কেটরেট অনুযায়ী কোন টোকেন দ্রুত ক্রয় বা বিক্রি করতে চান তাহলে মার্কেট সিলেক্ট করে কাজ করবেন । এতে করে কারেন্ট রেট হিসাবে যা দেখাবে সেই রেটে বিক্রি করতে পারবেন । তবে যেহেতু মার্কেট প্রতি সেকেন্ডের কম সময়ে উঠানামা করে তাই যেই রেট দেখাবে তার চাইতে সামান্য কিছু কম দামে বিক্রি বা বেশি দামে ক্রয় করতে হবে । যদি ধরেন ২৮৩.৭ ডলার হারে বিএনবি বিক্রি করতে চান তাহলে সেল অর্ডার দিতে দিতেই হিস্টরিতে দেখতে পাবেন ২৮৩.৫ ডলার পেতে হবে । তাই আপনি যদি লিমিট অপশন ব্যবহার করে ক্রয় বিক্রয় করেন তাহলে যে দাম দিবেন সেই দামেই বাই সেল হয়ে যাবে ।
Stop Limit: এই অপশনটা মুলত লস কমাতে ব্যবহার করা হয় । উপরের ছবিতে দেখুন Stop (usdt), Limit (usdt), Amount (bnb) দেখা যাচ্ছে । এবং কারেন্ট বিএনবি রেট দেখা যাচ্ছে ২৮৩.৭ ডলার । ধরুন, Stop বক্সে ২৮০.৫ ও Limit বক্সে ২৭৫.১ বসিয়ে দিলেন । এর মানে কি ? যদি দেখেন মার্কেট উঠা-নামা করছে এবং লস বেশি হয়ে যাবে এরকম আশংকা করেন তাহলে স্টপ বক্সে ২৮০.৫ দিয়েছেন । অর্থাৎ, আপনি ৩.২ ডলার লস হলেও সমস্যা হবে না বা এটা গ্রহণ করার সামর্থ্য আপনার আছে । আর লিমিট বক্সে ২৭৫.১ ডলার দিয়েছেন । অর্থাৎ, ২৮৩.৭ ডলারের বিএনবি যদি ২৭৫.১ ডলার পর্যন্ত লস হয় তাহলে আপনি সর্বোচ্চ ছাড় দিতে পারবেন । এতে করে আপনার ৮.৬ ডলার খুব বেশি হলে লস হবে । আপনি এর চাইতে বেশি লস নিতে চান না । এবার ভালোমত বুঝতে চেষ্টা করেন, দেখা গেলো ডলারের দাম ২৮৩.৭ ডলার থেকে নেমে কমতে কমতে ২৮০.৫ পাড় করে ২৭৮ ডলার হয়ে গেলো । যেহেতু আপনি লিমিট ২৭৫.১ দিয়েছেন এতে করে আপনার ডলার লসে বিক্রি হয়ে যাবে না । আবার দেখা গেলো ডলারের দাম ২৭৫.২ পর্যন্ত এসে ০.১ আরও নিচে না নেমে আবার উপরের দিকে উঠে গেলো । এতে আপনি বেঁচে যাবেন লসের হাত থেকে । যেহেতু আপনি লিমিট দিয়েছেন ২৭৫.১ ডলার তাই এর থেকে সামান্য কমও যদি কাছাকাছি আসে তাও ডলার বিক্রি হবে না । যদি কোনভাবে ২৭৫.১ থেকে ২৭৫.০ তে এসে যায় তাহলেই ডলার বিক্রি হয়ে যাবে । এগুলি একটু রিস্ক হয়ে যায় । যদি আপনি লসের পরিমাণ গ্রহণ করতে রাজি হউন তাহলেই কেবল এভাবে লিমিট দিতে পারেন । তবে মার্কেট ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস করার ক্ষমতা আপনার থাকা লাগবে । আন্দাজে দাম ধরে দিয়ে লাভ নাই । লাভের চেয়ে লস হবে । তাই ভালোমত শিখে তারপর এরকম স্টপ-লিমিট সেট করবেন । আর নয়ত স্টপ এবং লিমিটের উভয় বক্সে একই পরিমাণ সংখ্যা দিবেন । এতে করে ওই দামে চলে এলেই ডলার বিক্রি হয়ে যাবে এবং অতিরিক্ত লসের হাত থেকে বেঁচে গেলেন ।
OCO: বেশিরভাগ ট্রেডার এটা ব্যবহার করে কাজ করে । এটা কিভাবে কাজ করে ? উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে Price (usdt), Stop (usdt), Limit (usdt), Amount (bnb) এবং কারেন্ট প্রাইস ২৮৩.৭ ডলার দেখা যাচ্ছে । ধরুন আপনি ২৮৩.৭ ডলারে বিএনবি ক্রয় করেছেন । আপনি চাচ্ছেন ২৯০.৭ ডলার হিট করলেই ডলার বিক্রি করে দিবেন । ধরি, আপনি লস হলে সর্বোচ্চ ২৮০.৭ পর্যন্ত রাজি আছেন । এর নিচে কোনভাবেই রাজি নন । এবার চলুন বক্সে সেট করি । Price বক্সে ২৯০.৭ ডলার দিবেন যা আপনার প্রফিট হিসাবে চিহ্নিত হচ্ছে । Stop ও Limit বক্সে ২৮০.৭ ডলার সেট করবেন এবং Amount বক্সে পুরো ডলার ১০০% সেট করে সেল সিলেক্ট করে দিবেন । এতে ওপেন অর্ডার হয়ে যাবে । এখন যদি মার্কেট ২৯০.৭ তে হিট করে তাহলে অটো সেল হয়ে যাবে এবং প্রফিট ও মূল দাম ব্যালেন্সে চলে আসবে । আর যদি নিচের দিকে নেমে ২৮০.৭ তে চলে আসে তাহলেও সেল হয়ে যাবে । এতে করে মাত্র ৩ ডলার লস হবে । আর যদি মনে করেন, আপনার বাবা আপনাকে ঠ্যাংগাবে তাহলে স্টপ ও লিমিট বক্সে ২৮৩.৭ ডলারই বসিয়ে দিবেন । এতে করে মার্কেট নিচে গেলে যা দামে কিনেছেন সেই দামেই বিক্রি হয়ে যাবে । কিছু সেন্ট কম পাবেন কারণ প্রতিটা ট্রেডে খুবই সামান্য পরিমাণ ডলার কাটে । তার পরিমাণ খুবই কম, এগুলি আমাদের গায়ে লাগে না । আশা করি, পড়ছেন এবং মজা পাচ্ছেন কারণ বুঝতে পারছেন, এটা তো ক্যালকুলাসের চেয়েও পানির মত দুধভাত বিষয় । জি, এটা সহজ বিষয় কিন্তু মার্কেট বুঝতে এনালাইসিস ক্ষমতা থাকতে হবে । এতে করে আরও লাভবান হবেন । কখন ট্রেড করবেন, কখন করবেন না । কখন এন্ত্রি নিলে ভালো হবে । এগুলির জন্য মার্কেট বুঝতে হবে । যার জন্য অন্তুত ৬ মাস গাধার মত লেগে থাকা লাগবে । তাহলেই এই স্পট ট্রেডিং আপনাকে দুই হাত ভর্তি করে মুনাফা দিবে ।
Trailing Stop: এটা হল ওসিও এর অ্যাডভান্স ভার্সন । ফিউচার ট্রেডিং নিয়ে যদি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সেখানে এটা দেখতে পেয়েছেন এবং ফরেক্সে এটার সাথে সবাই পরিচিত । কিন্তু স্পট ট্রেডিংয়ে এটা একদম নতুন । কয়েকমাস হল এটা এসেছে । এবং মার্কেটে ৯০% এর বেশি মানুষ এটা বুঝেই না । কিন্তু আপনি এখন বুঝে যাবেন ।
ধরুন, মার্কেটে গতকাল একটা টোকেন এসেছে । আপনি সন্ধ্যায় দেখেছেন এর দাম ১ ডলার ছিল । আপনি একবার চিন্তা করলেন ৫০ ডলারের কিনে রাখি, ৬০ ডলার হলে বিক্রি করে দেবো । ১০ ডলার লাভ হবে । আপনি রাতে ঘুমিয়ে সকালে ফোন হাতে নিয়ে দেখতে পাচ্ছেন এটার দাম ৪০০% পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল সারা রাত কিন্তু আপনি মাত্র ১০ ডলার প্রফিট পেয়েছেন অথচ যদি জেগে থাকতেন তাহলে ৫০ ডলার লাফ দিয়ে ৪০০ ডলার হয়ে যেতো । আপনি আফসোস করতে করতে সারাদিন পাড় করে দিলেন ।
বাইন্যান্স চাচ্ছে না, আপনি আরও বেশি বেশি আফসোস করুন । তাই এটা নিয়ে হাজির হয়েছে । উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, Act. Price (usdt), T/D (%), Limit (usdt), Amount (bnb) এবং কারেন্ট প্রাইস ২৮৩.৬ ডলার এবং সেল বক্সের উপরে ২.৫৩% দেখা যাচ্ছে ।
ধরুন, Act. Price = 285.6
T/D = 2.5%
Limit = 280.5
এখানে, একটিভ প্রাইস ২৮৫.৬ ডলার । ডলারের দাম বেড়ে যখন ২৮৫.৬ ডলার হবে তখন ট্রায়ালিং শুরু হবে । আমরা যেমন মার্কেটে গেলে একের পর এক পোশাক ট্রায়াল দেই সেরকম আর কি । এখানে ২.৫% হল দাম বৃদ্ধির হার । ধরুন, ২৮৩.৬ ডলার থেকে দাম বৃদ্ধি পেয়ে ২৮৫.৬ ডলারে হিট করলো ও ট্রায়াল শুরু হল । এবং ২৮৫.৬ থেকে ২.৫% হারে দাম বৃদ্ধি পেয়ে ২৯০.৫ ডলার হয়ে গেলো । ২৯০.৫ আবার ২.৫% হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২৯৬.০ ডলার হল । আবার ২.৫% বৃদ্ধি পেয়ে ৩০০.৫ ডলার হয়ে গেলো । এখানে উল্লেখ্য যে, ২৮৩.৬ ডলার থেকে ২.৫% হারে দাম বৃদ্ধি পেয়ে আমাদের দাম ৩০০ ডলার হিট করলো । এখন দাম আরও না বেড়ে যখনই ২.৫% কমে যাবে এবং দাম ২৯৮ ডলারে নেমে যাবে তখনই ডলার বিক্রি হয়ে ব্যালেন্সে জমা হয়ে যাবে । ধরলাম, মার্কেট একবারো নিচের দিকে না নেমে এটা ৫০০ ডলারে চলে গেলো এবং অবশেষে ২.৫% ডাউন হয়ে ৪৯৫ ডলার হয়ে গেলো । সাথে সাথে ডলার বিক্রি হয়ে আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাবে ।
ধরুন, ২৮৩.৬ থেকে ২.৫% হারে বৃদ্ধি পেয়ে দাম প্রতিবার ২৯০, ৩০০, ৩২৫, ৩৩০, ৩৫০, ৪০০, ৪২৫ এভাবে বেড়েছে । এখানে এই প্রতিটা সংখ্যা হচ্ছে ট্রায়াল স্টপ । যদি এর যেকোনো একটা স্টপে এসেও ২.৫% কমে যেতো তাহলে যে রেট হতো কমার পরে সেই রেট পেয়ে যাবেন ।
আবার ধরুন, ২৮৩.৬ ডলার দিয়ে ক্রয় করলেন কিন্তু মার্কেট উপরের দিকে না গিয়ে নিচের দিকে নামা শুরু করলো । এবং যখনই এটা ২৮০.৫ ডলারে এসে ২.৫% আরও নিচে যাবে তখনই এটা বিক্রি হয়ে যাবে এবং আপনার লস কমে যাবে ।
এখন কোন মাধ্যমে ট্রেড করা শুরু করবেন সেটা আপনার স্কিলের উপর নির্ভর করবে । আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে আসুন, এখানে আলোচনা করা হবে প্রতিটা বিষয় নিয়ে এবং আপনি নিজের অবস্থান বুঝে সেভাবেই ট্রেড করবেন । তবে মনে রাখবেন, ট্রেড ঝুঁকিপূর্ণ তাই সবকিছু নিজ বুদ্ধিতে করবেন, কারো কথায় প্ররোচিত হওয়া যাবে না । যদি ঠিকমত শিখতে পারেন তাহলে অন্যকিছুতে সময় দেয়াও সম্ভব হবে না কারণ এখান থেকেই ভালো ইনকাম করা যায় । কত ইনকাম করা যায় সেটা না হয় টেলিগ্রামে নিজেই দেখে নিবেন ।
গ্রুপটা শুধুমাত্র বিগিনারদের জন্য । এক্সপার্টদের জন্য এখানে কিছুই নেই । তাই অহেতুক সময় নষ্ট না করলেই ভালো হয় ।
Join Telegram: CLick Here
Subscribe YouTube: Click Here
আশা করি, প্রতিটা বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন । কেবল বাইন্যান্স নয় কুকয়েন এবং অন্যান্য ট্রেডিং সাইটগুলি নিয়েও ধীরে ধীরে ভিডিও ও পোস্ট করা হবে । এবং ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আসবে । যারা বিগিনার রয়েছেন তারা আমাদের সাথে যোগ দিতে পারেন । যারা সঠিকভাবে ট্রেড শিখে আয় করতে চান তাদের জন্য দ্রুতই কোর্স আসবে । ততক্ষন পর্যন্ত আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন করুন এবং ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন । যদি লেগে থাকতে পারেন, তাহলে এই মাধ্যমে বস হওয়ার জন্য ১ বছরই যথেষ্ট । ফ্রিল্যান্সিং শিখে আপনি স্কিল ডেভেলপ করতে পারবেন কিন্তু মার্কেটপ্লেসে কাজ পাবেন কোন গ্যারান্টি নাই । কিন্তু ট্রেডিং শিখতে পারলে ইনকাম নিজেই করবেন । এখানে টেনে ধরার কেউ নেই । বেস্ট অফ লাক ব্রাদারস অ্যান্ড সিস্টার্স ।
No comments